আমরা সবাই ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা ধরনের সপ্ন দেখি ।
সপ্ন দেখতে সবাই ভালবাসে ।
কিন্তু সেই স্বপ্নগুলো কয়জনই বা পূরণ করতে পারে
বলুন তো ?? নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে
সবাই পারে না ।
আর যারা পারে তাদের সংখ্যাও নেহায়েত বেশি নয় ।
পৃথিবীর ১০০
ভাগ মানুষের মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ মানুষের সপ্নগুলো পূরণ হয়
আর বাকিদের স্বপ্নগুলো শুধু সপ্ন থেকে যায় কেন এমনটা হয় বলতে পারেন ?? আমাদের চ্যানেলটি subscribe করে না থাকলে অবশ্যই subscribe করবেন
। একদমই ভুলবেন না কিন্তু । নতুন সব ভিডিও পেতে bell button এ click করে notification on করে রাখুন । আসসালামুয়ালাইকুম
, আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আশা
করি সবাই ভালো আছেন ।
কারো করোনা positive আসলে একদম দুশ্চিন্তা করবেন না ।
ইনশাল্লাহ আপনি সুস্হ হয়ে যাবেন খুব তাড়াতাড়ি ।
আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে যে সপ্নগুলো দেখছি সেই অনুযায়ী আজকের দিনের প্রতিটা সময়কে অর্থাৎ প্রতিটা সেকেন্ডকে যদি এখন থেকে কাজে লাগানো শুরু করি অবশ্যই আমাদের ভবিষ্যতের সপ্নগুলো আমরা পূরণ করতে পারবো ।
কিন্তু আমাদের মধ্যে কয়জনই বা আছে যে নিজের সময়কে সবচেয়ে বেশি মূল্যবান মনে করে ?? সময় মত প্রতিটা কাজ করে ?? আরে ভাই সময় এর কথা বলছে রাস্তায় বের হলেই তো দিন শেষ
, যে ট্রাফিক জ্যাম রে মা ।
আসল সমস্যা কি জানেন ?? বাঙালি বড় অলস জাতি ।
বাকী সবার কথা তো জানি না , কিন্তু উনি অনেক অলস । ট্রাফিক জ্যাম তো
কি হয়েছে সেই সময়টাকে অলস ভাবে বসে না থেকে কাজে লাগান ।
এহহ আসছে যে গরম কিছু করতে কি মন চায় তখন আবার অন্য কাজ করব ?? এইতো শুরু হয়ে গেল বাহানা দেয়া ।
বাহানা দেয়া ছাড়া
নিজের যা আছে তা
নিয়ে কেন করছি না আমরা কাজ ?? অনেক বাঙ্গালি আছে যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে প্রচুর কষ্ট করে সবাই তোর মত অলস না ।
কিন্তু এখানে কথা হল তাদের পর্যাপ্ত শিক্ষা না থাকায় তারা ভাল কিছু করতে পারছে না । যেমন – কৃষক গার্মেন্টসকর্মী আমরা কেও সপ্ন দেখার
সময় ছোট সপ্ন দেখি না
। আমাদের সপ্ন অনেক বড় হয় আর সবাই চায় রাজপুত্রের মত আরাম আয়েশ করতে।
অই সবাই রাজা হতে চায় ঠিক
আছে ??
…রাজা না বলার পিছনেও কারন আছে ।
রাজা বলি নি কারন রাজারও অনেক দায়িত্ব কর্তব্য থাকে
তার প্রজাদের প্রতি
। তোমরা তো খালি আরাম চাও ।
তা ঠিক বলেছিস আমি অতো দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে চাই
না , শুধু আরাম করব আরাম … তাই তো বললাম রাজপুত্র ।
কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি সাফল্য কখনো রাতারাতি আসে না , এর পিছনে লুকিয়ে থাকে অনেক পরিশ্রম , কষ্ট
এবং নিদ্রাহীন রাত ।
আপনি যদি আপনার জীবনটাকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে চান । তবে, আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকুন।
তো আপনারা এতক্ষন কি ভাবলেন ?? যখন আমরা কোন প্রেরনামূলক ভিডিও দেখি তখন আমাদের মনে হয় ।
তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া “অরে মামা আজকে থেকে সব করব একদম রোবট হয়ে যাবো ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটবো , পানি ৩ লিটার খাবো , ব্যায়াম করবো ।
না ৩ লিটার কেন ৪ লিটার করে প্রতিদিন পানি খাবো , হ্যাঁ হ্যাঁ আর ঘণ্টায় ঘণ্টায় বার্থরুমে দৌড়াবো । আবার এমনটাও কিন্তু হয় , কিছুক্ষণ
পরের দৃশ্য আহ হাতেরও তো জীবন আছে “ আজকে না থাক কালকে থেকে পুরোদমে শুরু করে দিবো ।“ এইতো শুরু হয়ে গেল আসল খেলা । প্রেরণামূলক ভিডিওগুলো দেখার পর আমরা
খুব কঠোরভাবে
এই নিয়মগুলো পালন করা শুরু করি ।
২/৩ দিন কারো ক্ষেত্রে তো মাত্র ১ দিন
নিজেকে জোর করে কাজগুলো করাতে পারলেও এর পর আর সম্ভব হয় না ।
যখন ক্লান্তি আর অলসতা আমাদেরকে ঘিরে ফেলে তখন আমাদের মনটাও সুযোগ পায় কিছু বলার
। সে বলে “ নো প্যারা বস জাস্ট রিলাক্স ।
আজকের দিনটা থাক না, কালকে থেকে নাহয় আবার শুরু করবো“।
এইই কালকে আর কখনই আসে না ।
পরদিন আবার অলসতা,
এর পরদিন তো ভুলেই যাই আমার কোন কাজ ছিল করার ।
কারণ
, আমাদের মন সহজে কোন পরিবর্তনকে মেনে নিতে পারে না ।
আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু আমাদের মন
, যে কিনা সবসময় আরাম প্রিয় ।
যখনি আমরা নতুন কিছু করতে চাই, নিজেকে বদলাতে চাই , পুরানো অভ্যাসগুলোকে বাদ দিয়ে নতুন অভ্যাস গড়তে চাই তখনি এই মনের ভালো লাগে না ।
শুরু হয়ে যায়
, নানা ধরনের অজুহাত দেয়া ।
অগো তুমি তো মন না আমার , বড় শত্রু আমার ।
ফলে
,আমাদের সপ্নগুলো সপ্নই থেকে যায় কখনো বাস্তবে পরিনত হয় না ।
ফলে
, আমাদের জীবনে সফলতার মুখটা দেখার সৌভাগ্য পর্যন্ত হয় না । এখন প্রশ্ন হলো কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করা যাবে ??
এরজন্য আপনি ২ মিনিটের নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন , যদি না আপনি নিজেকে পুরানো ফোনের মতো অচল করে ফেলতে চান । যেভাবে ২ মিনিটের নিয়ম অনুসরণ করবেন :--
ধরুন , আপনি নিজের সাথে ওয়াদা করেছেন আপনি প্রতিদিন সকালে হাঁটবেন কারণ আপনাকে নিজের ওজন কমাতে হবে ।
আপনি ২/৩ দিন আপনার নিজের সাথে করা ওয়াদা খুব ভালোভাবে পালনও করলেন ।
এর পরের দিনগুলোতে
ঘুম আসছে,ভালো লাগছে না, ক্লান্তি লাগছে ।
তখন আপনি আপনার মনকে বুঝালেন, “আরে বাবা যেহেতু আমি ওয়াদা করেছি ২ মিনিটের জন্য হলেও আমি একটু হাঁটি , তারপর যদি ভালো না লাগে তাহলে আর হাঁটবো না” ।
এতে ওয়াদা তো ভাঙ্গলোই না বরং আপনার উপকার হল । আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল , আমরা যেকোনো কাজ শুরু করতে প্রচণ্ড ভয় পাই ।
যখন কাজটা করা শুরু করি তখন আমাদের ভয়টা অনেকাংশে কমে যায় ।
যেমন আমার কথাই ধরুন , যখন ইউটিউব চ্যানেল শুরু করতে যাবো অনেক ভয় কাজ করছিল ।
আমি কি পারবো অন্যদের মত সুন্দর করে ভিডিও বানাতে , নিজের সৃষ্টি তে কিছু নতুনত্ব আনতে , নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে ?? হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক করছিল এই ছোট্ট মাথাটায় ।
হিযাব দিয়ে বড় করে রেখেছি আসলে কিন্তু আমার মাথাটা ছোটোই ।
তোমার মাথাতো এখনো ছোটই ।
কি বললি , তোমার মাথায় তো কিছু নাই বড় হবে কোন দিয়ে । তারপর যখন সাহস করে তৈরি করে ফেলি তখন
নিজের কাজ দেখে তো নিজেই অবাক । আমি যেহেতু পেরেছি আপনিও অবশ্যই পারবেন ।
মানুষ যতদিন বেঁচে আছে , ততদিন তার পরিবর্তন অবধারিত ।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই পরিবর্তন যেমন শরীরের হয় তেমনি মনেরও হয় ।
কেউ এই পরিবর্তনকে সহজে মেনে নিতে না পারার কারণে খারাপ হয়ে যায় , আবার কেউ এই পরিবর্তনের সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে আগের চেয়ে অনেক বেশি ভাল করে তুলে ।
যতদিন বেঁচে আছি ততদিন আমাদের পরিবর্তন হতে থাকবেই , তাহলে কেন আমরা আমাদের এই পরিবর্তনের সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে আরো উন্নত করে তুলছি না ??
নিজেদেরকে পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে হলে খারাপ অভ্যাসগুলো বাদ দিয়ে ভাল অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে ।
তো দেরি কেন ??
এখনি খাতা কলম নিন আর ঝটপট লিখে ফেলুন আপনি নিজের মধ্যে কোন অভ্যাসগুলো বদলাতে চান এবং নতুন কোন অভ্যাসগুলো গড়ে তুলতে চান ।
এর পর যখন যে অভ্যাসটা আপনি মনে করবেন আপনার অর্জন করা শেষ বা বাতিল করেছেন তা কেটে দিবেন ।
এভাবে আস্তে আস্তে আপনি আপনার জীবনে অনেক পরিবর্তন দেখতে পারবেন ।
শুধুমাত্র আপনাকে প্রতিটা অভ্যাসের জন্য ২১ দিন নিজের দিকে ভালভাবে খেয়াল রাখতে হবে ।
গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ ২১
দিন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কোন কাজ করতে থাকলে সেটা তার অভ্যাসে পরিণত হয় ।
আমি আজকে যেসব সাধারণ সমস্যার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেছি সেসব সমস্যার মধ্যে কোন সমাধানটি আপনাদের কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো বলে মনে হয়েছে অবশ্যই কমেন্টে লিখে জানান ??
আপনাদের কমেন্টগুলো আমার কাছে মহামূল্যবান ।
কেননা,
প্রতিটা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা হয়ে থাকে ।
তাই প্রতিটা মানুষ থেকে নতুন অনেক
ভালো কিছু শিখার থাকে বলে আমি মনে করি
, তুই মনে করলেই হইলো নাকি তুই কেরে
?? উফফ । মনে
রাখবেন এতো কিছু দেখার এবং জানার পরও শুধু যদি মনেমনেই উৎসাহিত হন তাহলে কিন্তু কোন
লাভ নেই ।
সুতরাং ,
সঠিক সময় কালকে নয় বরং আজকে এবং এখনি ।
শুরু করেন ।
পরবর্তীতে কোন বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করলে ভালো হবে আমাকে পরামর্শ দিন ।
আগামী ভিডিওতে আলোচনা করবো কিভাবে আবেগি বেকুব নাহয়ে একটু চালাকির সাথে আবেগকে নিয়ন্ত্রন করা যায় ।
একটু চালাক নাহলে দুনিয়াতে টিকা খুব মুশকিল ।
কিন্তু অতি চালাকের গলায় দড়ি । ভিডিওটি দেখতে চাইলে ...... link :---
No comments